সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ালেই কড়া ব্যবস্থা: আসছে নতুন আইন
জাতীয় সংবাদঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে বাংলাদেশে আর পার পাওয়া যাবে না । সরকার তৈরি করেছেন ‘সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং সেল’। সোশ্যাল মিডিয়ায় কঠোর নজরদারি চালানো হবে এখন থেকে।
বাংলাদেশের পুলিশ এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব বন্ধ করতে এবং কুৎসা, অপপ্রচার মিথ্যা তথ্য ঠেকাতে কঠোর আইন পাশ করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, ইতিমধ্যেই কুৎসা এবং গুজব রটানোর অভিযোগে অনেককেই গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এবার ‘সাইবার ক্রাইম আইন’ আরও কড়া করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়। এটা করতে কোরিয়া সরকারের সহযোগিতায় চট্টগ্রামে একটি সাইবার ফরেনসিক ল্যাবরেটরিও স্থাপন করতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। গুজব রটনাকারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ‘তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমাণ আদালত’ স্থাপন করার বিষয়েও চলছে সরকারের পক্ষ থেকে নানান চিন্তাভাবনা।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে “লিয়াজোঁ অফিসার” নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। গুজব ও মিথ্যাচার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধও করা হয়ে গেছে।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, “আমি আশা করি যে সমস্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বাংলাদেশেও যোগাযোগ অফিস চালু করবে।” সেক্ষেত্রে সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সরাসরি তাদের সহায়তা নেওয়া হতে পারে। অতীতের তুলনায় দেশে সাইবার অপরাধ বেড়েছে। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। ‘
সিআইডির সিপিসি ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান বলেছেন, “অনেকে আর্থিকভাবে লাভজনক হওয়ায় অনেকে অপবাদ ও গুজব ছড়ায়।” আবার একটি সরকারবিরোধী চক্র বিদেশ থেকে টাকার বিনিময়ে এ জাতীয় কাজ করে থাকে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকব।
র্যাবের গোয়েন্দা পরিচালক লেঃ কর্নেল খায়রুল ইসলাম বলেছিলেন, “আমাদের প্রতিটি ব্যাটালিয়নের সাইবার অপরাধের জন্য একটি বিশেষ দল রয়েছে। তারা নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়া পর্যবেক্ষণ করে থাকে। অপরাধ করে রেহাই পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই।
[…] […]