মুনিয়া হত্যায় বসুন্ধরা গ্রপের এমডি সায়েম আনভীরের সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ
আইন ও আদালত: দেশের আলোচিত মুনিয়া হত্যা কান্ডে বসুন্ধরা গ্রপের এমডি সায়েম আনভীরের সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মুনিয়া হত্যাকান্ডের এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এদিকে, পুলিশের দেয়া ঐ প্রতিবেদন এর ওপর ২৯ জুলাই শুনানীর দিন ধার্য করেন আদালত। ঐদিনই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে এই প্রতিবেদন চুড়ান্ত গ্রহণ করবেন কিনা।
প্রসঙ্গ, গত ২৬ এপ্রিল রাতে গুলশানের একটি অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে ঢাকার একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন এই ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহাদ’। মামলার একমাত্র আসামি করা হয়েছিল বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছিলো, মিরপুর ক্যান্টনম্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মোসরাত জাহান মিনায়া ২১। দুই বছর আগে মামলার আসামি আনভীরের সাথে মোসারাতের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তারা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় দেখা করতেন এবং প্রায় সময় মোবাইলে কথা বলতেন। আসামি আনভীরের সাথে মুনিয়ার ছিলো প্রেমের সম্পর্ক।
মুনিয়া হত্যা কান্ডে মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি ঐ বাসার মালিকের বাসায় ইফতার করেন মুনিয়া। পরে সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। এ নিয়ে আসামী আনভীর ও মুনিয়ার মাঝে মনোমলিন্যের সৃষ্টি হয়। আসামি মুনিয়াকে কুমিল্লায় চলে যেতে বলেন। এবং বলেন আসামির মা জানতে পারলে মুনিয়াকে মেরেও ফেলবেন।
এরপর ২৫ এপ্রিল মুনিয়া কান্না করে তার বড় বোন বাদিকে বলেন, আসামি তাকে বিয়ে করবেন না, শুধু ভোগই করেছে। আসামি আনভীর তাকে ধোঁকা দিয়েছে। যেকোনো সময় তার বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে’।
পরে মামলার বাদি তার আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে ২৬ এপ্রিল কুমিল্লা থেকে ঢাকায় উদ্দেশ্য রওনা দেন। গুলশান মুনিয়ার বাসায় পৌঁছার পর দরজা ভেতর থেকে লাগানো দেখতে পান। এরপরে মিস্ত্রি এনে তালা ভেঙে মুনিয়ার ঘরে প্রবেশ করে, শোয়ার ঘরে সিলিংয়ের সাথে মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা নিবন্ধনের ন্যুনতম বয়স ৩৫ বছর করা হয়েছে
[…] […]